নবান্নের সচিবের ভুয়ো পরিচয়ে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি, ধৃতকে আনা হল দুর্গাপুরে

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৫জানুয়ারীঃ
ভুয়ো আইএএস অফিসার সেজে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারনার অভিযোগে অরূপ নন্দী নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। দুর্গাপুরে একটি জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ধৃতকে।
জানা গিয়েছে, নিজেকে নবান্নের একজন সচিবের পরিচয় দিয়ে নাম ভাঁড়িয়ে প্রতারনা করলেন অভিযুক্ত অরূপ নন্দী। ফ্ল্যাট, জমি, বাড়ি আবার কখনও মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গায় সাধারন মানুষের থেকে টাকা আত্মসাৎ করতেন এই অরূপ নন্দী। যারা যারা তার প্রতারনার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন শান্তনু পাল যিনি দুর্গাপুরের বাসিন্দা। শান্তনুবাবু জানান, ২০১৪ সালে অভিযুক্তের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। এক্ষেত্রেও ওই ব্যাক্তি নিজেকে নবান্নের একজন অফিসার পরিচয় দেন। সাথে খুব কম সময়ের মধ্যে একটি বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধাপে ধাপে তাঁর থেকে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে। কিন্তু টাকা নিয়ে হাওয়া হয়ে যান ওই ব্যাক্তি বলে অভিযোগ। এরপর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান শান্তনুবাবু। ওদিকে ইতিমধ্যে এরকমই আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে জালিয়াতির অভিযোগ পেতে থাকে পুলিশ। বিষয়টির তদন্তভার যায় সিআইডির কাছে। বিভিন্ন সুত্র ধরে তদন্ত এগোতে থাকে। এরপর শান্তনুবাবুর বিষয়টির দায়িত্বভারও পড়ে সিআইডির উপর। এরপর গোপন সুত্রে খবর পেয়ে কলকাতার ঠাকুরপুকুর থেকে অরূপ নন্দীকে গ্রেফতার করা হয়।
সুত্রের খবর, ২০১৩ সাল থেকে এই ধরনের জালিয়াতি করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে। নিজেকে নবান্নের সচিব বলে পরিচয় দিয়ে নীল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে সাথে এক এক সময় এক এক নাম ভাঁড়িয়ে সাধারন মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের প্রতারনার জালে ফেলতে পারদর্শী ছিলেন অভিযুক্ত। মুখে প্রায় সময় রাজ্যের বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যাক্তিত্বের নাম লেগেই থাকত ধৃতের। সাথে নিয়ে ঘুরতেন ভুয়ো পরিচয় পত্রও। ফলে সেভাবে তাঁকে কেউ সন্দেহ করতে পারত না। তদন্তকারী সিআইডি অফিসারদের অনুমান, ধৃত অরূপ নন্দী কয়েক কোটি টাকার জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জেরা করলে জালিয়াতির আসল পরিমাণ জানা যেতে পারে।