দুর্গাপুরে ফুচকা বিক্রেতাকে পিটিয়ে খুন, ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৯ এপ্রিলঃ
পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কোকওভেন থানা এলাকার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক নগরের এক ব্যাত্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মৃত ব্যাক্তির নাম রামপ্রসাদ সরকার (৫০) পেশায় রামপ্রসাদ সরকার দুর্গাপুর স্টেশন বাস স্ট্যান্ডে ফুচকা বিক্রেতা।
ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার রাতে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪১নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন শ্রমিক নগর এলাকায় পুরোনো বাড়ির এলাকায় প্রতিবেশীদের সাথে দেখা করতে এসেছিল রামপ্রসাদ সরকার। বাড়ির সামনে এক অসুস্থ বৃদ্ধ প্রতিবেশীকে বাইরে খাটিয়া তে শুয়ে থাকতে দেখে তারও খোঁজ খবর নিতে যায় রামপ্রসাদ। মদ্যপ অবস্থায় এই অসুস্থ বৃদ্ধার বুকেত ওপর বসে পড়ে বলে অভিযোগ। এরপরই বৃদ্ধর ছেলে ও তার দলবল দুর্গাপুর স্টেশন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বাঁকুড়া মোড়ের কাছ থেকে রামপ্রসাদকে ধাওয়া করে মারধর করে বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হলেও রামপ্রসাদ দাদাকে টোটো করে রামপ্রসাদকে তার বাড়ি বিদ্যাসাগর এলাকায় পাঠিয়ে দেয়।রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রামপ্রসাদ সরকারকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ ভোরেই মৃত্যু হয় রামপ্রসাদের।
রামপ্রসাসের পরিবারের অভিযোগ, তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। বিশ্বজিৎ জানা, সুরজিত সরকার, মনা দাস, আর শুভজিৎ সরকার এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ।
কোকওভেন থানার পুলিশ তিনজনকে আটক করে।অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে সিপিএম। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার রামপ্রসাদের পরিবারের সাথে দেখা করে।
পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে এই রকম ঘটনা ঘটেছে, গোটা রাজ্য জুড়ে একই ঘটনা। অভিযুক্ত অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।
এই নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
এদিকে ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিফুল সাহা বলেন এটি পাড়াগত বিবাদ, এর সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
যদিও অভিযোগের তির অনন্ত কুমার জানা ছেলে বিশ্বজিৎ জানার দিকে। তার পরিবারের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি ময়নাতদন্ত হোক মৃত্যুর আসল কারণ উঠে আসবে।