পরকীয়া সন্দেহে হত্যা, বেনাচিতিতে স্ত্রীকে খুনে ধৃতের স্বীকারোক্তি
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৪ জানুয়ারীঃ
দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে ঘরে ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে মিলেছিল মহিলার দেহ। আর তখন থেকেই নিখোঁজ ছিল মৃতার স্বামী। সন্দেহের তির ছিল মৃতার স্বামীর দিকে। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ পলাতক মৃতার স্বামীকে ৭ দিনে মধ্যে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ৫ দিনের পুলিশি জেফাজতের নির্দেশ দেন অভিযুক্তকে। পুলিশী জেরায় মৃতার স্বামী নিজের স্ত্রীকে খুন করার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়। জেরায় সে জানায় তার স্ত্রী অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত আর তার কাছে বারংবার বিবাহবিচ্ছেদের দাবি জানাচ্ছিল। তা নিয়ে নিত্যদিন দুজনের অশান্তি লেগেই থাকতো। ঘটনার দিন বচসা চরমে ওঠে আর রাগের মাথায় সে রেখাকে গাঁইতি দিয়ে খুন করে। এরপর স্ত্রীর মৃতদেহ ট্রাঙ্কের ভেতর ভরে সে দুর্গাপুরের বাইরে পালিয়ে যায়৷ এরপর গতকাল যখন সে দুর্গাপুরে ফেরে তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৭ শে ডিসেম্বর রাতে শেষ বার দেখা গিয়েছিল দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত বেনাচিতি পাওয়ার হাউস বস্তির বাসিন্দা বছর ২৬ এর রেখা মন্ডলকে। ২৯ তারিখ সন্ধে গড়ালেও রেখার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রেখা বেনাচিতি বাজারের শালবাগান রোডের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতো। পাড়া পড়শীরা ভেবেছিল হয়তো কাপড়ের দোকানে কাজের চাপে ঘরে ফিরতে পারেনি রেখা। কিন্তু রাত্রি পর্যন্ত রেখা ঘরে না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুজি, কাপড়ের দোকান থেকেও বলা হয় রেখা দোকানে আসেনি। এরই মধ্যে রেখার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসতে শুরু করে। কিন্তু ঘরের ট্রাঙ্ক এর সামনে থেকে দুর্গন্ধ আসাতে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। ট্রাঙ্ক খুলতেই রেখার মৃতদেহ দেখতে পায় সবাই। সাথে সাথে দুর্গাপুর থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় মৃতদেহ। রেখার স্বামী সুভাষ মন্ডল পেশায় রাজমিস্ত্রি, সে পলাতক। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করে মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করে আজ বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।