যাত্রী চাপানো নিয়ে অশান্তির জেরে জামুড়িয়ায় বন্ধ মিনিবাস পরিষেবা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(জামুড়িয়া), ২৮ জুলাইঃ
টোটোর কারণে মিনিবাস থামিয়ে বিক্ষোভে সামিল হল মিনিবাসের কর্মচারীরা। জামুড়িয়া থেকে আসানসোল, রানীগঞ্জ ও হরিপুরগামী সমস্ত বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা সূত্রপাত এই দিন টোটো চালকরা প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করছিলেন। ঠিক সেই সময় মিনিবাস চালকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মিনিবাস চালকদের দাবি এভাবেই টোটো চালকদের জন্য তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে টোটো চালকরা বলেন, যে সকল যাত্রীদের টোটোতে চাপানো হয়েছিল তাদের পরিবারের কোনো দুর্ঘটনার কারণে শীঘ্রই ঘরে পৌঁছানোর দরকার ছিল। যেখানে তারা যাচ্ছিলেন সেখানে বাস যায় না সে কারণেই টোটোতে চাপানো।
বাস কর্মচারীদের অভিযোগ, পাঁচ বছর ধরে অবৈধ টোটো তাদের ব্যবসা ধ্বংস করছে। মিনিবাস রুটে টোটো যাত্রী নেওয়ার কারণে তারা যাত্রী পাচ্ছেন না। মিনিবাসের চালক ও কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রশাসনকে বারবার বলেও লাভ হয়নি।
মিনি বাসের কর্মী অশোক কুমার জানান, বিমা ও রোড ট্যাক্স বাবদ অনেক টাকা দিতে হয়। যাত্রী না হওয়ায় মিনিবাস মালিকদের রোষানলে পড়তে হয় তাদের। অশোক কুমার দাবি করেছেন যে মিনি বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০০ মিটার দূরে টোটো পার্ক করা উচিত। টোটো চালকরা প্রধান সড়কে যাত্রী তুলতে পারবেন না। প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নিলে বাস চালাবে তারা।
স্কুলের এক শিক্ষক জানান, তাকে স্কুলে যেতে হবে কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি অনেক সমস্যায় পড়েছেন। দিন দিন বাড়ছে এই সমস্যা। সমাধানের জন্য প্রশাসন, একটি মাধ্যম খুঁজে বের করুন যাতে টোটোও চলতে থাকে এবং বাস চলাচল বন্ধ না করে। তিনি বলেন, টোটো পরিবেশের জন্য খুবই উপকারী, এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রশাসনের কাছে একটি মাধ্যন বের করার আবেদন জানান যাতে বেকার যুবকরা টোটো চালিয়ে কর্মসংস্থান করতে পারে এবং বাসের সংখ্যাও না কমে।