বনধের মিশ্র সাড়া খনি অঞ্চলে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল,পান্ডবেশ্বর ও লাউদোহা), ৮নভেম্বরঃ
কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল বাতিলের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছে পাঞ্জাব,হরিয়ানার কৃষকেরা। তাদের সেই আন্দোলনের সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
বিল বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ডাকা এদিনের ভারত বনধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল অন্ডাল,পান্ডবেশ্বর ও লাউদোহা খনি অঞ্চলেও। মঙ্গলবারে সকালে উখরা,কাজোরা, পাণ্ডাবেশ্বর ,ও লাউদোহা এলাকার দোকানপাট একাংশ খোলা থাকলেও বেলা বাড়তেই বনধ সর্বাত্মক চেহারা নেয়। বন্ধ হয়ে যায় বাজার ও দোকানপাট। এলাকার পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ ছিল সম্পুর্নভাবে। তবে দুচাকার গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়।
খনি কর্মীরা বনধের সমর্থনে আজ সকালে বিভিন্ন কোলিয়ারীর গেটে সভা করে। তবে খনি গুলিতে ্কর্মীদের উপস্থিতি ও উৎপাদন ছিল অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক। সিপিএইএমের দামোদর অজয় জোনাল কমিটির নেতা প্রবীর মন্ডল জানান,বনধ সর্বাত্মকভাবে সফল। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নয় কৃষি আইন কৃষক স্বার্থের পরিপন্থী। এই বিল কার্যকর হলে কৃষক এবং কৃষি দুইই ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশে। তাই কৃষকদের ডাকা বনধকে আমরা সমর্থন জানিয়েছি। পশ্চিমবাংলার মানুষ এই বনধকে সমর্থন করেছে বলে জানান তিনি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর কাঞ্চন মিত্র জানান,আমাদের দল তৃণমূল কংগ্রেস বনধের বিরোধী, কিন্তু কৃষকদের আন্দোলোনের যৌক্তিকতার কারণে আমরা তাদের ডাকা বনধকে নৈতিক সমর্থন করছি।
জাতীয় কংগ্রের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী দাবি করেন,কৃষকদের ডাকা আজকের বনধের সর্বাত্মক সফল। পাশাপাশি তিনি জানান, দেশের পুঁজিপতিদের স্বার্থে বিজেপি সরকার এই বিল এনেছেন। বিল কার্যকর হলে আদানি, আম্বানিদের মত বহুজাতিক সংস্থা গুলি লাভবান হবে। তাই কৃষক স্বার্থে দেশের মানুষের উচিৎ কৃষকদের আন্দোলনের পাশে থাকা।
তবে আজকের বনধের ব্যাপরে এলাকার বিজেপি নেতাদের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।