“ধৈর্যের একটা সীমা আছে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে তার প্রতিক্রিয়া হয় ভয়ঙ্কর”-জিতেন্দ্র

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ২৬জানুয়ারীঃ
“ধৈর্যের একটা সীমা আছে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে তার প্রতিক্রিয়া হয় ভয়ঙ্কর”- পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির এ হেন মন্তব্যকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। সোমবার সন্ধ্যায় পান্ডবেশ্বরের বাঁকোলার তালবাগান এলাকায় বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিধায়ক এই মন্তব্য করেন। তবে ইনি আচমকাই কেন বা কার উদ্দেশ্যে এরকম মন্তব্য করলেন তা পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি। পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর উদ্দেশ্যে তিনি এই মন্তব্য করে থাকতে পারেন এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলেরএকাংশ। তাদের মতে প্রথমে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ আর তারপর ফের প্রত্যাবর্তন। এখন জিতেন্দ্র তিওয়ারী দলের মূল স্রোতে ফিরতে চাইছেন কিন্তু তাতে যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ জিতেন্দ্র তিওয়ারী যেদিন দলের জেলা সভাপতি ও আসানসোল পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, সেদিনই পাণ্ডবেশ্বরে বিশাল মিছিল করে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রদর্শন করে ছিলেন নরেনবাবু। সেদিন মিছিল শেষে বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি সাথে বিধায়কের কুশপুতুল দাহ করার পাশাপাশি এলাকায় এলে বিধায়কের পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নরেনবাবু।
এরপরেও “মূলস্রোতে ফিরতে চাই” বলে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে এই আর্জি করার পরেও এখনো দলের সাথে জিতেন্দ্র তিওয়ারীর দূরত্ব মেটেনি। বিদ্রোহের পর নিজের বিধানসভা এলাকায় জিতেন্দ্রবাবুকে দু’একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে দেখা গেলেও দলের কোনো অনুষ্ঠানে এখনো তাকে দেখা যায়নি। দিন কয়েক আগে পান্ডবেশ্বরে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্যের দলীয় অনুষ্ঠানেও ব্রাত্য ছিলেন বিধায়ক আর ব্লক সভাপতির অঙ্গুলি হেলনে তাকে যে দলের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলে ধারণা জিতেন্দ্রবাবু সমর্থকদের। তাকে কোণঠাসা করার চক্রান্ত চলছে। সেই কারণেই জিতেন্দ্রর বাবু সম্ভবত কালকের অনুষ্ঠানে এরকম ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
তবে বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারীর এই মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি ব্লক সভাপতির নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কাছ থেকে। বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন পাণ্ডবেশ্বর ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিধানসভা ভোটে পাণ্ডবেশ্বর আসনটি তৃণমূল জিতবে বলে দাবি করেন নরেন বাবু।