আন্দোলনের মাঝে বহিরাগতদের সাথে ঠিকাশ্রমিকদের বচসায় উত্তপ্ত শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারী

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ১৩নভেম্বরঃ
অন্ডালের বাঁকোলা এরিয়ার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারি তে পুজোর বোনাস সহ একগুচ্ছ দাবিতে ঠিকা শ্রমিকদের কর্মবিরতি আন্দোলন পড়লো ২৯ দিনে। কিন্তু এরই মধ্যে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ বহিরাগত শ্রমিকদের এনে কাজ শুরু করার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। বহিরাগতদের দেখেই বাধা দিতে এগিয়ে যান আন্দোলনরত শ্রমিকরা, এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি বেঁধে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অন্ডাল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকদের অভিযোগ শারদ উৎসব শেষ হয়ে গেছে তবুও এখনও মিলেনি পুজোর বোনাস। কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে উৎসবে বঞ্চিত করা হয়েছে ঠিকা শ্রমিকদের। তাই দাবি আদায়ে গত মাসের ১৬ তারিখ থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। ২৯দিন ধরে তারা টানা কর্মবিরতি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অভিযোগ গত বছরও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে লাগাতার আন্দোলনের ফলে শেষ পর্যন্ত ৮.৩৩ শতাংশ বোনাস মিলেছিল গতবার। এবার সেটাও দেয়নি ঠিকাদারেরা। ফলে পুজোর মরসুমে চরম সমস্যায় পড়েছেন শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারির প্রায় ৩০০জন ঠিকা শ্রমিক। দাবি আদায়ে এক জোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকেরা।
সংগঠনের পক্ষে শ্রমিক নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারেরা সুপ্রিম কোর্ট ও হাইপাওয়ার কমিটির সুপারিশ এখনো এখানে কার্যকর করেনি, ফলে বর্ধিত বেতন সহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে গত মাসের ১৬ তারিখ থেকে শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি চালিয়ে আসছেন। যতক্ষণ না হাইপাওয়ার কমিটির সুপারিশ কার্যকর ও পুজোর বোনাস হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি। শ্রমিকদের পক্ষে সেখ ভুলন,আতাউর রহমান, গৌড় দাসদের অভিযোগ গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করার জন্য কর্তৃপক্ষ লাগাতার চাপ সৃষ্টি করছে শ্রমিকদের উপর। বাইরে থেকে শ্রমিক এনে পুলিশ দিয়ে আন্দোলন ভাঙ্গার চেষ্টা চলছে। গতকাল বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক এনে কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছিল কর্তৃপক্ষ। আজও আবার সেই চেষ্টা করা হয়। তবে শ্রমিকদের বাধায় সেই চেষ্টা সফল হয়নি। দাবি আদায় না হলে কোনো পরিস্থিতিতেই শ্রমিকরা পিছু হাটবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। শ্রমিকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।