প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে ফের অন্ডাল বিমানবন্দরে ধর্ণায় জমিদাতারা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ৩ফেব্রুয়ারীঃ
অন্ডাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বারবার উঠেছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ। এক বিঘা জমির পরিবর্তে এক কাঠা জমি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের কাজে নিয়োগ, অন্যান্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ এখনো বকেয়া রয়েছে , বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও হয়নি সুরাহা তাই ফের আন্দোলনে নামলেন জমিদাতাদের একাংশ। অন্ডাল বিমানবন্দর কৃষক, শ্রমিক ও যুব ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ব্যানারে মঙ্গলবার দুপচুরিয়া মোড়ে বিমান নগরীর ঢোকার মূল গেটের সামনে ধর্না বিক্ষোভে সামিল হন জমিদাতা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের একাংশ। অশান্তি এড়াতে সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলির। সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয় ধর্না বিক্ষোভ।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে দেবাশীষ ঘোষাল জানান ২০১৮ সালে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয় বিমান নগরীর জন্য। এলাকার তেরোটি মৌজার ১৯০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। একর প্রতি আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল জমিদাতাদের। কিন্তু এখনো সব জমিদাতা ক্ষতিপূরণ পাননি। এলাকার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার যুবক যুবতীকে আইটিআই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিশ্রুতি ছিল প্রশিক্ষণ শেষে এদের বিমানবন্দরের বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করা হবে। সেই নিয়োগ এখনো হয়নি বলে অভিযোগ। এক একর জমির পরিবর্তে বিমাননগরীর ভেতর পরিকাঠামো সহ এক কাঠা করে জমি জমিদাতাদের পাওয়ার কথা ছিল। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রানীগঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী পাঁচজন জমিদাতা হাতে এক কাঠা করে জমির কাগজ তুলে দেন। বাকিদের পর্যায়ক্রমে জমি পাওয়ার কথা ছিল। জমিদাতাদের দেওয়া কাগজ রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গেলে জমির রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রেজিস্ট্রি অফিস থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় এই বিষয়ে তাদের কাছে কোনো নির্দেশ আসেনি। ফলে জমির কাগজ পেলেও জমির মালিকানা পাওয়া যাবে কি যাবে না সেই বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেবাশিস বাবু বলেন সমস্যাগুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে বারবার দরবার করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই মেলেনি। তাই আজকে ফের তারা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে আজকের আন্দোলনের জেরে বিমান ওঠানামা বা যাত্রী পরিষেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি বলে বিমান বন্দর সূত্রে খবর। অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।