তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার পান্ডবেশ্বরে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ১৮ সেপ্টেম্বরঃ
রবিবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল এক তৃণমূল নেতার। মৃতের নাম নদীয়া ধীবর। মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রবিবার সকালে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের ছোঁড়া গ্রামে নিজের ঘর থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় নদীয়া ধীবর (৫২) নামে এক তৃণমূল নেতার মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে জানা যায় অন্যান্য দিনের মতো শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর নদীয়া বাবু বাড়ির দোতলার উপর নির্দিষ্ট ঘরে শুতে গিয়েছিলেন। এদিন সকালে নিজের অফিসে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র দেখার পর ফের দোতালায় নিজের ঘরে ফিরে যান। সাড়ে সাতটা নাগাদ বাড়ির পরিচালিকা তার দোতালায় ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে নদিয়া বাবুর গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তার চিৎকার চেঁচামেচিতে পরিবারের সদস্য ও পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ এসে ফাঁস কেটে নদীয়া বাবুর নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। খবর পেয়ে আসেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দলের ব্লক সভাপতি কিরিটি মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। নরেন্দ্রনাথ বাবু জানান খুবই দুঃখজনক ঘটনা। নদীয়া বাবুর মৃত্যুতে দলের ক্ষতি হলো। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। দল সূত্রে জানা গেছে নদীয়া বাবু আগে ছোঁড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। ২০১৩ সালে নির্বাচনে জিতে তিনি জেলা পরিষদের সদস্য হন। বর্তমানে তিনি ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের দায়িত্বে। পেশাই নদীয়া বাবু ছিলেন আইনজীবী। দুর্গাপুর কোর্টে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওকালতির কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনেও তিনি অংশ নিয়েছিলেন এবার। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ নদীয়া বাবু কি কারনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তদন্তের পরেই তা বলা সম্ভব বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানান।