সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করেছে বিজেপি, প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ তৃণমূলের
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৮ আগস্টঃ
দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার টিকিট কাউন্টারে ভাঙ্গচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করেছেন তাঁরা এই অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরের ৩০নং ওয়ার্ডে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালো তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের ৩নং ব্লক সভাপতি ভীমসেন মণ্ডল এদিন এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে ছাত্রদের উপর পুলিশী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আজ বুধবার ১২ ঘন্টার জন্য বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই মতো সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের পথে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির জেলার সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায় এদিন বিজেপির কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে স্টেশন বাজারে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই সময় এসবিএসটিসির টিকিট কাউন্টারে বাসের টিকিট কাটছিলেন যাত্রীরা। বিষয়টি নজরে আসতেই কয়েকজন কর্মী সমর্থক দলীয় পতাকা হাতে কাউন্টার বন্ধ করার হুমকি দিতে থাকেন। কাউন্টারের কর্মীরা তা নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তাঁরা কাউন্টারের জানলা বন্ধ করে দেন তারপর দলীয় পতাকার বাঁট দিয়ে জানলার কাঁচ ভাঙ্গতে শুরু করেন। বিষয়টি সেই মুহূর্তে পুলিশের হস্তক্ষেপে শান্ত হলেও তৃণমূলের কানে পৌঁছোয় বিষয়টি। এরপরেই ভীমসেন মন্ডলের নেতৃত্বে তাঁরা ওই এলাকায় বিজেপির কার্যালয়ের সামনে পৌঁছোন। ওই কার্যালয়টি বন্ধের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা।
৩নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভীমসেন মন্ডল জানান, “এই কর্মনাশা বনধ আমরা মানছি না। বিজেপি সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করেছে। কাউন্টারে ভাঙচুর চালিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে এটা আমাদের দাবি।”
বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায় বলেন, “যদি এই ঘটনার সাথে আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী যা করণীয় তা করা হবে। তৃণমূলকে বিষয়ে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে আমার কাছে খবর আছে এখানকার স্থানীয় তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। এই ঘটনার পেছনে রয়েছে সদ্য সিপিএম থেকে তৃণমূলে আসা পঙ্কজ রায় সরকার। উনি জোর করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন যা আমাদের দলের লোকেরা মোকাবিলা করেছে। আমরা ওনার বিরুদ্ধে আইনী মোকাবিলা করবো।”