জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে কন্যাশ্রীর টাকা দান দুর্গাপুরের টোটো চালকের ১৬ বছরের কন্যার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৪এপ্রিলঃ
করোনা ভাইরাস গ্রাস করেছে সারা বিশ্বকে। পৃথিবীর কোনায় কোনায় করোনায় থাবায় রক্তাক্ত মানুষজন। এই সময় সমস্য শত্রুতা, সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে মানুষজন একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন যার যেমন সামর্থ্য সেই অনুসারে। এত গেল আমজনতার কথা। মানুষের এই ভয়ানক বিপদের দিনে সরকারের পক্ষ থেকেও যতটা সম্ভব সাধারন মানুষকে বিপদ মুক্ত করার জন্য যত রকম পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভুব তাই নিচ্ছে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও সেই পথে হেঁটে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে রাজ্যবাসীর জন্য। এই উপলব্ধি থেকে তার মঙ্গল কামনা করে নিজের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখল দুর্গাপুরের ষোড়শী পূর্ণিমা প্রামানিক। আজ শনিবার ছিল পূর্ণিমার ১৬তম জন্মদিন। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের করাল গ্রাসের বিষয় অনুধাবন করতে পেরে ওই কিশোরী তার কন্যাশ্রীর জমানো টাকা থেকে ১০০০টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিলো দুর্গাপুরের দেশবন্ধুনগরের বাসিন্দা পেশায় টোটোচালক শ্রীকান্ত পরামানিকের মেয়ে মাধ্যমিকের ছাত্রী পূর্ণিমা। এদিন ২নং বোরো চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদারের হাতে পূর্ণিমা মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি সহ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেয় সে। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, “দিদি তুমি ভাল থেকো, সুস্থ থেকো।” মাত্র ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর এহেন চিন্তাভাবনায় অভিভূত বোরো চেয়ারম্যান তাই আজ তার জন্মদিনে উপহার স্বরূপ পূর্ণিমার হাতে চকোলেটের বাক্স তুলে দেন। আর আতেত আপ্লুত পূর্ণিমা জানায় যে, “দিদি গরীব ছত্রীদের কষ্টের কথা ভেবে, তাদের উচ্চশিক্ষার জন্য টাকা দিয়েছেন। আজ কত মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিদি। তাই আমার জমানো কন্যাশ্রীর তাকা থেকে এই সামান্য টাকা দিলাম।