বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরেই আসানসোলে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা, কাকতালীয় নাকি…??
আমার কথা, আসানসোল, ১১ এপ্রিলঃ
লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার পর মাস পেরিয়ে গেলেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে কোনো উৎসাহ দেখা যায়নি। অন্যদিকে, বিজেপি এতদিন প্রার্থী না দেওয়ার কারনে ফাঁকা মাঠে তৃণমূলের থেকেও সেভাবে প্রচার করতে দেখা যায়নি। বুধবার যখন বিজেপি তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে,তখন থেকেই বিজেপির কর্মীদের মধ্যে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। তাঁরা উৎসাহ নিয়ে ভোট ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এদিকে ২৭ এপ্রিল আসানসোলে নিজের দলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার জনসভা করতে আসছেন খোদ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। ফলে এবার মনে হচ্ছে নির্বাচন এসে গেছে বলে মনে করছেন আসানসোলের বাসিন্দারা।
একদিকে, বিজেপি আসানসোল লোকসভা থেকে তার হেভিওয়েট নেতা এসএস আহলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করে নির্বাচনকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। অন্যদিকে আগামী ২৭ এপ্রিল তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো আসানসোলে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন এই বিষয়টি ঘোষণা করায় আসানসোল লোকসভায় নির্বাচনী হাওয়া তৈরি হয়েছে। কোন জায়গায় জনসভাটি হবে তা নির্দিষ্ট করতে শুরু হয়েছে দলের প্রস্তুতি । চিহ্নিত করা হয়েছে কয়েকটি জায়গা । যে জায়গাগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার কথা ভাবা হচ্ছে তার মধ্যে একটি আসানসোলের ঊষাগ্রাম বয়েজ স্কুল মাঠ। বৃহস্পতিবার এই মাঠটি পরিদর্শন করেন দলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মন্ত্রী মলয় ঘটক, দলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক সহ অন্যরা। মাঠ পরিদর্শনে হাজির ছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ পুলিশ কর্তারাও । নরেন্দ্রনাথ বাবু বলেন মমতা ব্যানার্জির জনসভা মানেই জন প্লাবন। সে কথা মাথায় রেখেই সভা করার জন্য উপযুক্ত জায়গার খোঁজ চলছে । দু-একদিনের মধ্যেই সভাস্থলের জায়গা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।এখন দেখার বিষয় বিজেপি জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে প্রার্থীর সমর্থনে আসে কি না। বর্তমানে আসানসোলে নির্বাচনী রং উঠতে শুরু করেছে।