ফর্ম ফিলাপ করলেই সরকার দেবে স্মার্ট ফোন, ভুয়ো সাইট খুলে উখরায় পড়ুয়াদের টোপ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(উখরা), ১৫অক্টোবরঃ
অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করলে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে স্মার্ট মোবাইল, এই প্রলোভন দেখিয়ে একটি ভুয়ো সাইট খুলে একটি সাইবার কাফে- তে পড়ুদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছিল টাকা। ঘটনাটি উখরার আনন্দ মোড় এলাকার। অভিযুক্ত কাফে মালিক কাজল সূত্রধরকে পুলিশ আটক করেছে।
করোনা অতিমারির কারণে দেশে হয়েছে দীর্ঘ লকডাউন। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এখন চলছে আনলক পর্ব। তবে সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যের স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কবে খুলবে সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা নেই। পড়ুয়াদের এখন ভরসা অনলাইন টিউশন। বাংলা মাধ্যম সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্য সম্প্রতি অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে। যে সকল পড়ুয়াদের স্মার্ট মোবাইল আছে কেবল মাত্র তারাই পড়াশোনার এই সুযোগ পাচ্ছে, আর যাদের স্মার্ট মোবাইল নেই সে সকল পড়ুয়ারা রয়েছে এই সুযোগের বাইরে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে নেমে পড়েছে উখরার আনন্দ মোড়ের এক অসাধু কাফে মালিক।
ওই এলাকায় ডিজিটাল জোন নামে একটি সাইবার কাফে রয়েছে যার মালিক কাজল সূত্রধর। এলাকায় প্রচার হয়ে যায় ওই কাফেতে অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা বিনা মূল্যে পাবে স্মার্ট মোবাইল। ফর্ম ফিলাপের জন্য নেওয়া হচ্ছিল ৩০ টাকা করে। মোবাইল এর লোভে বেশকিছু পড়ুয়া ও অভিভাবক টাকা দিয়ে ওই কাফেতে ফর্ম ফিলাপ করে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় পড়ুয়াদের মোবাইল দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকার কোনো ঘোষণা করেনি। যে সাইটে অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করা হচ্ছে সেটিও রাজ্য সরকারের নয়। ঘটনাটি জানার পর অন্ডালের বিডিও ঋত্বিক হাজরা বিষয়টি দেখার জন্য অন্ডাল থানা ও উখরা ফাঁড়ির পুলিশকে নির্দেশ দেন। বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে কাফের মালিক কাজল সূত্রধর কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ উখড়া আউটপোস্ট নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর রাতেই অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। ঘটনাটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
রাম সরকার নামে এক অভিভাবক জানান “ঘটনাটি সত্যি ভেবে আমিও আমার মেয়ের জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম। এখন বুঝতে পারছি প্রতারণার শিকার হয়েছি।”
রাম বাবুর মতো আরও অনেক অভিভাবক ওই কাফেতে তাদের পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের জন্য ফর্ম ফিলাপ করেছেন। ঘটনার তদন্ত ও অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রতারিত অভিভাবকরাও।