করোনা আবহে ‘অগ্রণী’ ‘নবারুন’ সহ দুর্গাপুর মহকুমার বেশ কয়েকটি পুজোর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৫অক্টোবরঃ
শরতের আকাশ ইতিমধ্যেই জানান দিয়েছে যে মা আসছেন, তাই তো আকাশে বাতাসে আগমনীর সুর শোনা যাচ্ছে। প্রকৃতির আনাচে কানাচে কাশফুলে দোলা লেগেছে। তবে এবারে মা দুর্গার আগমনে নেই সাজ সাজো রব। কারন অন্যান্য বছরের থেকে এ বছরে পরিবেশ যে সম্পূর্ণ আলাদা। প্রকৃতি যে অসুস্থ, তাই তো মানব জাতি আজ গৃহবন্দী। করোনার মারন ব্যাধি কেড়ে নিয়েছে এবারে পুজোর আনন্দ। তবু তারই মধ্যে বছরে এই একটি বার মায়ের মর্ত্যে আগমনকে তো তুচ্ছ করা যায় না। তাই আপামোর বাঙ্গালী ধুমধাম করে না হলেও মায়ের আরাধনায় মেতে উঠেছে তাঁরা।
ব্যতিক্রমী এই বছরে মহালয়া পেরিয়েছে বেশ কিছুদিন হল। তারপর থেকেই অল্প অল্প করে সার্বজনীন পুজো কমিটির সদস্যরা পুজোর আয়োজনে লেগে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সারা রাজ্যের মোত ৬৯টি উল্লেখযোগ্য পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলেও বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। তবে অবশ্যই করোনা আবহে সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাথে সংক্রমণ এড়াতে পুজোরগুলির ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন করলেন তিনি। যেমন দুর্গাপুরের বেনাচিতির অগ্রণী ও ভিড়িঙ্গির নবারুন সার্বজনীন পুজো কমিটির দুর্গাপুজার ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উদ্বোধনের সময় মন্ডপে উপস্থিত ছিলেন মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা, মেয়র পারিষদ, বোরো চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা।
অপরদিকে পান্ডবেশ্বরের হরিজন সার্বজনীন দুর্গোত্সবের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পাণ্ডবেশ্বর মানুষের সাথে সাথে উপস্থিত ছিলেন এসিপি(পূর্ব) স্বপন দত্ত ও সাথে ছিলেন পাণ্ডবেশ্বর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জীব দে।
অন্যদিকে, পানাগড় বাজারের মিত্র সংঘেরর পুজোর ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনও হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে। উদ্বোধনের সময় মন্ডপে উপস্থিত ছিলেন কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, কাঁকসা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অর্ণব গুহ প্রমূখ।