করোনা আবহে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইন অমান্য আন্দোলনে দুর্গাপুরে অমান্য করা হল সামাজিক দুরত্ব
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৯ আগস্টঃ
দেশ বেঁচে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার এই ছিল আজকের কর্মসূচীর মূল স্লোগান। তাই বিজেপি সরকার হঠাও এই ডাকে পথে নামল সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকরা। রেল থেকে শুরু করে কয়লা শিল্প পর্যন্ত্য বেসরকারীকরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজ অর্থাৎ রবিবার আইন অমান্য আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দিয়েছিল দুর্গাপুরের সিপিআই(এম) ও আইএনটিইউসি কর্মী সমর্থকরা। এছাড়াও এদিনের এই কর্মসূচী থেকে কোভিড ১৯ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনাও করা হয়। অভিযোগ করোনা সংক্রমন যে হারে বাড়ছে সেভাবে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সরকারী হাসপাতালগুলিতে বেড নেই আর বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে লাগাম ছাড়া খরচে সমস্যায় পড়ছে সাধারন মানুষ। এরকম বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আজকের এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন বাঁকুড়া মোড়ের কাছে পথ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে এই অবরোধ। অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ব্যস্ততম এই রাস্তায়। সাথে এই যানজটের মধ্যে দুর্গাপুরে চিকিৎসা করাতে আসা দুজন রোগীও আটকে পড়েন। ফলে অবরোধ তোলার জন্য কোকওভেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ও সার্কেল ইন্সপেক্টর ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলেন। শেষে চারশো জনকে গ্রেপ্তার করার কথা পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হলে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
তবে এদিনের এই কর্মসূচীতে বহু কর্মী সমর্থকদের অংশ নিতে দেখা যায়, সাথে দেখা যায় করোনা আবহে করোনা নিয়ে প্রতিবাদও। অথচ করোনা সংক্রমন রোধে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার যে পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন তার লেশ মাত্র এই আন্দোলনে দেখতে পাওয়া যায়নি। ব্যাপক ভিড়ে আন্দোলনকারীরা একে অপরের খুব কাছাকাছি থেকে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। এ বিষয়ে সিপিআই(এম) নেতা পঙ্কজ রায় সরকারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনেই এই আন্দোলন করা হচ্ছে, যদিও এদিনের ছবি তা একেবারেই বলছে না।