দুর্গাপুরে মেয়র বদল হচ্ছে? জোর জল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৫নভেম্বরঃ
একদিকে দুর্গাপুরে জলের সংকট সামলাতে হিমশিম খাওয়ার অবস্থা, অপরদিকে সেই সমস্যা মিটল কি মিটল না তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর রোষের শিকার হলেন দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি। মহানাগরিকের কাজে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দেন কাজ না করলে মেয়রকে “চেঞ্জ” করে দাও। দুর্গাপুরের পরিস্থিতি নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করলে মুখ্যম্নত্রীকে তিনি সাফ বলেন যে দুর্গাপুরের মেয়র কাজ করছেন না। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন কেউ যদি কাজ না করে তাহলে তাঁকে দায়িত্বে রাখার কোনো মানেই হয় না। দুর্গাপুরের মেয়রের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন যে এর আগেও তিনি ওনার সম্বন্ধে শুনেছেন। দুর্গাপুরে এসে খোদ তিনি নিজে মেয়রকে সমঝেও দিয়েছেন কিন্তু তারপরেও সেভাবে কোনো কাজ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন যে, মেয়র একজন বয়স্ক ব্যাক্তি। একজন সরকারী আধিকারিক ছিলেন। মানুষ হিসেবে ভাল কিন্তু ভাল মানুষ দিয়ে তো শুধু হবে না। কেউ যদি কাজ না করে তাহলে তাঁকে দায়িত্বে রাখার দরকার নেই। সকলকে ডেকে, তাদের সাথে বৈঠক করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পুরমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গতঃ দুর্গাপুরের মহানাগরিক দিলীপ অগস্তির সাথে শুরু থেকেই মত পার্থক্য হয়ে আসছে দুর্গাপুর নগর নিগমের কাউন্সিলরদের একাংশের সাথে। কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে এনে মহানাগরিকের বিরুদ্ধে দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কথাও সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বোরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়। এরই মধ্যে শহরে বড় বিপর্যয় ঘটে যায় ব্যারেজের লকগেট ভেঙ্গে জল সংকট। আর শহরবাসীকে জলের যোগান দিতে অনেকাংশে ব্যর্থ দুর্গাপুর নগর নিগম বলে অভিযোগ বিরোধীদের। জলের সমস্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সমালোচিতও হতে দেখা গেছে মহানাগরিককে। ফলে সব মিলিয়ে মহানাগরিকের কাজে অখুশী মুখ্যমন্ত্রী আদপে কি করেন সেই দিকেই তাকিয়ে শাসক বিরোধী সব দলই। তবে এ বিষয়ে এখনও তিনি কিছু শোনেননি বলে প্রতিক্রিয়া দেন মহানাগরিক দিলীপ অগস্তি।