লকডাউনে দোকানের খাবার খেয়ে স্বপরিবারে সোজা হাসপাতালে! কাঁকসা ব্লক অফিসে অভিযোগ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৮এপ্রিলঃ
একেই লকডাউন তার উপর গরমও পড়েছে মারাত্মক, আর এই সময় একটু ঠাণ্ডা দই প্রাণটা যেন জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু প্রাণ জুড়াতে গিয়ে যে একেবারে হাসপাতালের বেডে ঠাঁই হবে তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার গাঙ্গুলীপাড়ার বাসিন্দা রঘুনাথ বাদ্যকর। দিন দুয়েক আগে পানাগড় স্টেশন রোডে একটি নামী মিষ্টির দোকান থেকে দই কিনে এনে স্বপরিবারে সেই দই খান রঘুনাথ বাদ্যকর। অভিযোগ সেই দই খাওয়ার পরেই বমি শুরু হয় বাদ্যকর পরিবারের সদস্যদের। শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে তাদের পানাগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ভর্তি করাতে হয়। সেখানে একদিন পুরোপুরি চিকিৎসাধীন থাকার পর তারপর তাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এরপর ওই দোকানের বিরুদ্ধে কাঁকসার ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান রঘুনাথবাবু। ওই মিষ্টির দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
অপরদিকে কাঁকসা ব্লক আধিকারিক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান যে, “আমি দইয়ের নমুনা চেয়ে পাঠিয়েছি, সাথে পুলিশকেও জানিয়েছি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখতে। এতে ওই দোকানের বিরুদ্ধে দোষ প্রমানিত হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে সাথে সুদীপ্তবাবু এও বলেন যে, “এখন লকডাউনের সময় এমনিতেই দোকানে বাসি খাবার থেকে যাচ্ছে আর সেই খাবার কিনে খাওয়া খুব একটা নিরাপদ নয়। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাই সাধারন মানুষজনদের বাইরের খাবার কিনে খাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতন হওয়ার জন্য বার বার আবেদন জানাচ্ছি। তারপরেও কিছু মানুষ বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে না পেরে এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলে এই ধরনের বিপদের মধ্যে পরে যাচ্ছেন।