জিতেন্দ্রর এনআইএ যোগ নিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৯ এপ্রিল:
কুনাল ঘোষের পর এবার রাজ্যের মন্ত্রীও এনআইএ এর সাথে আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির যোগ রয়েছে বলে দাবি করলেন। দুর্গাপুরে সোমবার তিনি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এদিন গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ভূপতিনগরে হানা দেয় এন আই এ। ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে অভিযানের আগে অর্থের বিনিময়ে বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর তাতে মূলচক্রী ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। প্রয়োজনে তাঁর সাথে এন আই এর গোপন বৈঠকের ভিডিও প্রকাশ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রীর সাথে যারা যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, দুই তৃণমূল নেতা প্রভাত চ্যাটার্জি ও বিশ্বনাথ পাড়িয়াল।
প্রসঙ্গত: এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে সরব হন। তা নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি সাংবাদিক বৈঠকও করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, গত ২৬ মার্চ এনআইএ-এর এসপি ধনরাম সিংহের বাড়িতে বৈঠক করেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আর সেখানেই বাংলার কোন তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে এনআইএ হানা দেবে তার তালিকা দেওয়া হয় বলে দাবি তৃণমূলের। শুধু তাই নয়, একটি সন্দেহজনক সাদা প্যাকেট দেখা গিয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির হাতে বলে দাবিও করেন কুনাল ঘোষ। এবার কুনাল ঘোষের এই দাবিতে শিলমোহর লাগালেন রাজ্যের এক মন্ত্রী।
এদিকে, তৃণমূলের এই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন আসানসোলের এই দাপুটে বিজেপি নেতা। তিনি, পাল্টা মানহানি মামলার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন কুনাল ঘোষের বিরুদ্ধে। বলেন, অভিযোগ যারা এনেছে সেই অভিযোগ প্রমানের দায় তাদেরই।
আর ‘আপত্তিকর’ এই অভিযোগ সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করে না নিলে মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র।
প্রসঙ্গত: জিতেন্দ্র তিওয়ারি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে বেশ হইচই হয়েছিল রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির টিকিটে তিনি ভোটে লড়লেও শেষমেশ জয়ী হতে পারেননি। এদিকে এখনও পর্যন্ত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা হবে বিজেপি তা এখনো স্পষ্ট করেনি। এর আগে ভোজপুরী গায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করা হলেও তিনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে চাননি। তবে এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন তা জানানো হয়নি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। নাম উঠে আসছিল জিতেন্দ্র তিওয়ারির। কয়েকটি জায়গায় দেওয়াল লিখনের ছবিও সামনে আসে। যদিও উচ্চ নেতৃত্বের নজরে গোটা বিষয়টি আসায় তড়িঘড়ি তা মুছে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে জিতেন্দ্র তিওয়ারির নামে নয়া অভিযোগ তুলল তৃণমূল। এখন দেখার, প্রার্থী হিসেবে কি আদৌ জিতেনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে?