এবার দিনের অপেক্ষা নয়, মাত্র পনেরো মিনিটেই করোনার রিপোর্ট মিলবে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩০জুলাইঃ
রাজ্যের সাথে দুর্গাপুরেও ক্রমশই বাড়ছে করোনা সংক্রমন আর এই করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তারা আদৌ করোনাতেই আক্রান্ত কিনা তা তাদের উপসর্গ দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করে এরপর তাদের লালারস সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য প্রথমদিকে পাঠানো হচ্ছিল কলকাতায় এরপর তা মলাদিঘির করোনার যে হাসপাতাল রয়েছে সেখানে সরকারীভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এতে সময় লাগলছিল কম করে চার থেকে পাঁচদিন। ফলে সেই ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত এটি নিশ্চিত করতে করতেই হয়ত তাঁর সংস্পর্শে আরো কিছু ব্যাক্তি সংক্রমিত হয়ে পড়ছিলেন। তাই দরকার ছিল খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যে সেই ব্যাক্তি করোনায় আদৌ আক্রান্ত কিনা। তাই করোনা সংক্রমন রোধে বা এই ভাইরাস বেশিভাবে ছড়িয়ে যাতে না পড়তে পারে তার জন্য এবার শিল্পাঞ্চলবাসীদের জন্য তৈরি হতে চলেছে অনেকটাই নিশ্চিন্তের জায়গা। এবার আর চার পাঁচদিনের অপেক্ষা নয় মাত্র পনেরো মিনিটেই একজন রোগীকে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে যে সে করোনায় আক্রান্ত কি না।
করোনা মোকাবিলায় এবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হল। এই নতুন পদ্ধতিতে মাত্র পনেরো মিনিতেই রোগী আর তাঁর পরিজনেরা হাতে পেয়ে যাবেন রিপোর্ট।
প্রসঙ্গতঃ দিন কয়েক আগে এই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেই প্রথমে একজন মহিলা চিকিৎসক এরপর বেশ কয়েকজন নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা এসেছিল তা খুঁজে বের করে তাদের আবার লালারস পরীক্ষা করানোর পদক্ষেপও নিতে হয়েছিল। শুধু তাই নয় এই হাসপাতালে কেউ জ্বরের উপসর্গ নিয়ে এলেও তাকে নিয়েও চিকিৎসকরা বেশ বেগ পেতেন এই ভেবে যে সেই রোগীও করোনায় আক্রান্ত কিনা। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভাবতেই শুরু করেছিলেন যে এমন কোনো উপায় যদি থাকত যাতে খুব কম সময়ের মধ্যে যদি পরীক্ষা করে নিসচিত হওয়া যেত যে রোগী করোনায় আক্রনাত নাকি না, তাহলে করোনা মোকাবিলা করতে অনেক সুবিধা হতো। সেই ভাবনারই ফলশ্রুতি হল এই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেষ্ট।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডঃ ইন্দ্রজিৎ মাজি জানান যে, “অনেক সময় সামান্য জ্বরের উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে আসতেন। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় থাকত না যে তিনি করোনার বাহক কিনা। ফলে আন্দাজেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে নিতে বাধ্য হতাম আর এতে হাসপাতালে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছিল। তবে এবার এই উন্নতমানের টেষ্টের সৌজন্যে অনেকটাই করোনা সংক্রমন রোধ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।”