আপত্তি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে, রণক্ষেত্র চুরুলিয়ায় মারাত্মক জখম পুলিশ আধিকারিক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৪এপ্রিলঃ
বাংলা নববর্ষের দিনেই কলুষিত হল বাংলার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মভিটে চুরুলিয়া গ্রাম। কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা নিয়ে গ্রামবাসীদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত ওই গ্রামটি। হয় ইটবৃষ্টি ও বোমাবাজি। ঘটনায় গুরুতর আহত হন জামুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। এছাড়াও আহত হয়েছেন প্রায় ১০-১২জন পুলিশকর্মী। বর্তমানে পরিস্থিতি আয়ত্বে এলেও পরিবেশ এখনও থমথমে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।
জানা গেছে, চুরুলিয়ায় রাজ্য সরকারের একটি যুব আবাস্ন রয়েছে যেটিকে আসানসোলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেই মতো ওই যুব আবাসনে ২৫জন রোগীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। আর এতেই আপত্তি ওই গ্রামের বাসিন্দাদের।ঘটনার সুত্রপাত আজ সকাল ৯টা ৩০ নাগাদ, যখন ওই আবাসনে থাকা রোগীদের জন্য পুলিশের একটি গাড়ি খাবার নিয়ে যায়, চুরুলিয়া গ্রামের চৌধুরী পুকুরের কাছে পুলিশের গাড়িটিকে আটকায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ। রোগীদের জন্য আনা খাবার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পাশাপাশ গাড়িতে ভাঙ্গচুর চালানোর অভিযোগও ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এরপর ফের যখন জামুড়িয়া থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী পুনরায় খাবার নিয়ে ওই সেন্টারে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন তাদের উপরেও হামলা চালায় গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ আর তাতে আহত হন ৬-৭ জন পুলিশকর্মীরা। খবর যায় থানায়। পরিস্থিতির সামাল ডিতে থানা থেকে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ওই গ্রামে। নামে কমব্যাট ফোর্স। এরপরেই পরিস্থতিত্তে ঘৃতাহুতি হয়। নয়া উদ্যোমে ঝাঁপিয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। শুরু হয় পুলিশ গ্রামবাসীদের খন্ডযুদ্ধ। গ্রামবাসীদের তরফে পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি করা হয়, সাথে বোমাবাজিও করা হয় প্রতিবাদীদের তরফে বলে অভিযোগ। ঘটনায় ওসি সুব্রত ঘোষ গুরুতর জখম হন। তার ডান পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। তাকে তড়িঘড়ি রানীগঞ্জে একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।