বাজারে উৎসুক মানুষের অযথা ভিড় কমাতে চন্ডীদাস বাজারে পুলিশী অভিযান

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৯এপ্রিলঃ
দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের পর এবার বি জোনের চন্ডিদাস বাজার। লকডাউনে শুধুমাত্র বেড়ানোর ইচ্ছে নিয়ে বাজারে ঘুরতে আসা কিছু মানুষকে নিজের নিজের বাড়ি ফেরত পাঠাতে রণমূর্তি ধারন করতে হল পুলিশ আধিকারিককে। বি-জোন ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মনোরঞ্জন মন্ডল আজ রবিবার সকালে চন্ডিদাস বাজারে যান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সেখানে গিয়ে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। একটু এদিক ওদিক ঘুরতেই অভিজ্ঞ চোখ চিনে নিলো তাদের যারা অপ্রয়োজনে লকডাউনের নিয়ম ভেঙ্গে বাজারে সময় কাটাচ্ছেন। তবে বাজারে আচমকাই পুলিশকর্মীদের সাথে আধিকারিকের উপস্থিতি দেখেই অবস্থা বেগতিক বুঝে চম্পট দিতে দেখা যায় তাদের।
এদিন মনোরঞ্জনবাবুর প্রথমে সব্জি বাজারের ভেতর ঘুরে দেখে সতর্কতামূলক সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার জন্য বিক্রেতাদের একই লাইনে পর পর না বসে লাইন আলাদা করে বসার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর তিনি যান মাছের বাজারে। সেখানে গিয়ে দেখেন মাছ বিক্রেতারা বলতে গেলে প্রায় গাদাগাদি করে বসে মাছ বিক্রি করছেন আর ক্রেতারাও বেশ ভিড় করে সেই মাছ কিনছেন। তা দেখে বেজায় ক্ষিপ্ত বি জোন ফাঁড়ির বড়বাবু মাছ বিক্রেতাদের একে অপরের থেকে কমপক্ষে ৫ফুট দুরত্ব বজায় রেখে বসতে নির্দেশ দেন।
অপরদিকে চন্ডিদাস বাজারের উল্টোদিকে ২২নং স্ট্রিটের শেষের দিকে সব্জির যে আড়ত রয়েছে সেগুলিতে সকাল হলেই মানুষজনের ভিড় উপচে পড়ে। স্থানীয়দের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়াতে পুলিশ প্রসাসনের পক্ষ থেকে সবজি আড়তগুলিকে রোজ একসাথে প্রতিদিন না খুলে ভাগ ভাগ করে একদিন অন্তর বসার জন্য অনুরোধ করা হয়।
বি-জোন ফাঁড়ির আই সি মনোরঞ্জন মন্ডল জানান যে, লকডাউনের সতর্কতা মানুষ যাতে ঠিক মতো মেনে চলে তাঁর জন্য যা করনীয় তাই করার চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। বি-জোন এলাকায় লকডাউনের নিয়ম বাসিন্দারা ঠিক মতো পালন করে তাঁর জন্য সব সময় নজরদারি চালানো হচ্ছে।