আলুর দাম ক্রমশই বাড়ছে, কারন জানতে দুর্গাপুর বাজারে আচমকা হানা বোরো চেয়ারম্যানের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৬জুলাইঃ
একদিকে করোনার আক্রমন অপরদিকে তার সাথে দুর্গাপুর শহরের বাসিন্দাদের পকেটে কামড় বসাচ্ছে আলুর দাম। তাই আলুর কালোবাজারী রুখতে এবার বাজারে আচমকা হানা দিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪নং বোরো কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দোপাধ্যায়।
করোনার সংক্রমনের হাত থেকে রাজ্য তথা দেশবাসীকে বাঁচাতে মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত্য চলেছিল লকডাউন। আর এই লকডাউনের কারনে বহু মানুষ একদিকে যেমন কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তেমনি অনেকে আবার আর্থিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু পেট সে কথা মানবে কেন। তাই শারীরিক প্রয়োজনীয়তা মেটাতে রোজ খাবারের প্র্যোজন। আর নিত্য খাবারের মধ্যে আলু হল গৃহস্থের সংসারের অত্যাবশ্যকীয় একটি সবজি। আর সেই চাহিদার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আলু দাম উত্তরোত্তর বাড়িয়েই চলেছে। যেখানে আলুর সরকারী মূল্য প্রতি কেজি ২৫টাকা সেখানে কেজি প্রতি প্রায় ৩-৫টাকা বেশি অর্থাৎ কেউ ২৮টাকা তো আবার কেউ ৩০টাকা দাম নিচ্ছেন। আর এই দাম দিতে কালঘাম ছুটছে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের। আলুর দামে কালোবাজারী বিষয়টি বোরো চেয়ারম্যানের কানে পৌঁছতেই তিনি আজ রবিবার সকালে দুর্গাপুর বাজারে হানা দেন। বেশি দাম নেওয়ার কারন জানতে চান বিক্রেতাদের কাছে। বিক্রেতারা জানান যে আড়তদার তাদের থেকে দাম বেশি নিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা ক্রেতাদের থেকে দাম বেশি নিচ্ছেন। তা শুনে চন্দ্রশেখরবাবু কথা বলেন আড়তদারদের সাথে। আড়তদাররা জানান যে তাঁরা যেখান থেকে আলু কিনছেন সেখান থেকে বেশি দামে তাদের আলু কিনতে হচ্ছে বলেই তাঁরা বেশী দামে আলু বিক্তি করছেন।
এরপর চন্দ্রশেখরবাবু সিদ্ধান্ত নেন আর জানান কেন আলুর দাম এত বেশি নেওয়া হচ্ছে তা তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে দেখার জন্য অনুরোধ করবেন।