পানাগড় ছুঁয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো কাশ্মীরে শহীদ জওয়ান সুবোধের মরদেহ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পানাগড়), ১৫নভেম্বরঃ
সুদূর শ্রীনগর থেকে শহীদ সুবোধ ঘোষের মরদেহ এসে পৌঁছোল পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনিতে। বিকেল চারটের সময় হেলিকপ্টারে করে তার মরদেহ এসে পৌঁছোয় পানাগড়ে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর ভারতের জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন বন্দি ভারতীয় এই শহীদ জওয়ানের মরদেহ নিয়ে নদীয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরে তাঁর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সেনারা।
শুক্রবার ঠিক কালীপুজোর আগের দিন বিকেল চারটে নাগাদ কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে বারামুলার উরি সেক্টর থেকে তেহট্টে সুবোধের বাড়িতে খবর আসে যে সে আর নেই। পাক সেনাবাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে মাত্র ২৪ বছরের তরতাজা ওই জওয়ানের দেহটি। আর এই খবর জানতেই পুরো পৃথিবীই যেন অন্ধকার হয়ে যায় সদ্য স্বামীহারা সুবোধের স্ত্রীর কাছে। কোলে তখন তিন মাসের দুধের শিশুকন্যা যে কিনা সদ্য পিতৃহারা হল। বাকরুদ্ধ অবস্থা সুবোধের পরিবারের। সামনের মাসে ডিসেম্বরে ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল সুবোধের। ডিসেম্বর পর্যন্ত্য আর অপেক্ষা করতে হল না। এক মাস আগেই তাঁর ছুটি হয়ে গেল। কিন্তু নিজের পায়ে হেঁটে নয় চারজনের কাঁধে চেপে ঘরে ফিরলেন ঘরের ছেলে। চোখের জল বাঁধ মানছে না গোটা গ্রামের। কারন সুবোধ ছিল রঘুনাথপুর গ্রামের গর্ব। তাই তো ছেলে হারা রঘুনাথপুর গ্রামে যে এবার আলোর উৎসবে জ্বলল না কোনো আলো। অন্ধকারেই ঢেকে থাকল শহীদ জওয়ান সুবোধের গ্রামটি।