দুর্গাপুরে সব্জি বিক্রেতার ঝুলন্ত দেহ ঘিরে রহস্য, মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ পরিবারের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ২০জুনঃ
এক ব্যাক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো কাঁকসা থানার অন্তর্গত দুর্গাপুরের শ্যামপুর সংলগ্ন বিহারপুর এলাকায়। মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসীরা।
জানা গেছে, মৃত ব্যাক্তি কালীচরন ব্যানার্জী(৩৮) ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় সব্জি বিক্রেতা ছিলেন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বাড়ির সামনে বর্জ্য পদার্থ ফেলা নিয়ে আত্মীয়দের সাথে বচসা বাধে কালীচরনবাবুর। কালীচরনবাবুকে তা নিয়ে ব্যাপক মারধর করে তার আত্মীয়রা বলে অভিযোগ। এরপরেই রাত ৯টা ৩০ নাগাদ কালীচরনবাবুকে তাঁর বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানোয় অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে যাতে কালীচরনবাবু তার মৃত্যুর জন্য অভিযুক্তদের দায়ী করে গেছেন। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃতের স্ত্রী ঝুম্পা ব্যানার্জীর অভিযোগ, কালীচরনবাবুকে খুন করে হয়েছে আর এই খুনের পেছনে হাত রয়েছে তারই তিন আত্মীয় বুদ্ধ ব্যানার্জী, গৌর ব্যানার্জী ও দিবাকর ব্যানার্জীর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। এরপর ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছে দিতে গেলে মৃতদেহ গ্রামের রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের আত্মীয় পরিজন সহ গ্রামবাসীরা। তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থাকে। সাথে পুলিশকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। কালীচরনবাবুর এই মৃত্যুকে ঘিরে এখন তৈরী হয়েছে রহস্য। কালীচরনবাবু কি অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি তাঁকে সত্যিই খুন করা হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।