মেয়েদের সুরক্ষা এবার তাদের জুতোয়, দুর্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার তাক লাগানো অবিষ্কার “পথসাথী”
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(লাউদোহা), ৯অক্টোবরঃ
বর্তমান সময় কালে দেশ জুড়ে বেড়েই চলেছে মহিলা নিগ্রহের ঘটনা। প্রতিদিনই সামনে আসছে ধর্ষণ ও খুনের খবর। এই ধরনের ঘটনা এড়াতে অভিনব এক ডিভাইস তৈরি করলেন অখ্যাত এক যুবক ।
দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের তিলাবনি গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের ছেলে বছর কুড়ির সৈয়দ মোশারফ হোসেন । তিনি বানিয়ে ফেলেছেন ‘ইন্ট্রিগ্রেটেড সিকুউরিটি কাম এলার্ট সিস্টেম।
হুগলির ব্যান্ডেলের একটি ইঞ্জিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলি কমিউনিকেশনের ইঞ্জিনিয়ারিং এর তৃতীয় বর্ষের বি টেক পড়ুয়া মোশারফ।
মোশারফ জানায়, মহিলাদের সুরক্ষায় অনেকে অনেক কিছু আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা মহিলাদের হাত পা প্রথমেই বেঁধে ফেলায় পীড়িতা মহিলা তার সুরক্ষায় কাউকে ফোন করতেও পারেন না বা কোনো সেফটি ডিভাইস তার কাছে থাকলেও সেটা ব্যবহার করতে পারেন না বিপদের সময় ।
সে কথা মাথায় রেখেই তিনি আবিষ্কার করেছেন “স্মার্ট জুতো” যা অন্য সাধারণ জুতোর মতোই । দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই।
এই “স্মার্ট জুতোতে” রয়েছে জিপিএস এবং জি এস এম টেকনোলজি। দুষ্কৃতীরা সাধারণত মহিলাদের হাত ধরে টানাটানি করে তাই জুতোর মধ্যেই রাখা হয়েছে সেফটি ডিভাইস, যাতে দুষ্কৃতীরা ঘুণাক্ষরেও টের না পায় সেটির । সৈয়দ মোশারফ জানায়,কোনো মহিলা আক্রান্ত হলেই সেফটি সিস্টেমে থাকা পাওয়ার শক জেনারেটর দুস্কৃতিকে প্রতি দুই সেকেন্ডে ১২০০ ভোল্টের শক দিতে থাকে। একই সঙ্গে জিএসএম সিস্টেম পাঁচটি ফোন নাম্বারে অখ্যাংশ,দ্রাঘিমাংশ সহ জায়গার লোকেশন দিয়ে মেসেজ পাঠাতে থাকে। এছাড়াও প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর এসওএস কল যেতে থাকে ওই পাঁচটি নাম্বারে । পুলিশ ও আত্মীয়স্বজনদের পাঁচটি নম্বর আগে থেকেই সেট করা যাবে ডিভাইসে।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল ,অনেক সময় দুষ্কৃতীরা মহিলাদের তুলে নিয়ে যায় অন্য কোথাও। জুতোয় থাকা ডিভাইসের মাধ্যমে মহিলার অবস্থান সহজেই জানতে পারবেন উদ্ধারকারীরা। ফলে সহজেই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারবেন। ইতিমধ্যেই মোশারফ এই ডিভাইস দেখিয়েছেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসককে বলে জানান তিনি।
মোশারফ এই ডিভাইসটি পেটেন্টের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চান ,এই রকম একটা ডিভাইস মহিলাদের সুরক্ষার জন্য দারুন কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি এও জানান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুলের মেয়েদের সুবিধার জন্য সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের মেয়েদের সাইকেল দিচ্ছেন। সবুজ সাথীর মত তার এই ডিভাইসের নাম দিয়েছেন “পথ সাথী।”