কালোবাজারি আর মজুতদারি রুখতে দুর্গাপুরের বাজারগুলিতে অভিযান মহকুমা শাসকের
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৪সেপ্টেম্বরঃ
একদিকে করোনার থাবা আর অন্যদিকে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের লাগামছাড়া দাম নিচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। ফলে রীতিমতো নাভিঃশ্বাস উঠছে সাধারন মানুষের। তাই কালোবাজারী রুখতে সাথে মজুতদারির বিরুদ্ধে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হল দুর্গাপুরের বেনাচিতি ও চন্ডিদাস বাজারে। মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকগণ ও দুর্গাপুর পুলিশকে সাথে নিয়ে এই সব বাজারের বিভিন্ন সবজি, ফলমূল থেকে শুরু করে মুদিখানার দোকান সহ চাল, আলু, পিঁয়াজের আড়ত অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানগুলিতে আচমকাই অভিযান চালান আর এই অভিযানে উঠে আসে বেনাচিতি ও চন্ডিদাস বাজারের বেশ কিছু অসঙ্গতি।
মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, “আমার কাছে বেশ কিছু দিন ধরেই বাজারের কেনাবেচা নিয়ে অভিযোগ আসছিল ক্রেতাদের কাছ থেকে। তাই আজ আমরা বেনাচিতি ও চন্ডিদাস বাজারে অভিযান চালাই। এই অভিযানে দুটি বাজারেরই বেশ কয়েকটি মুদিখানার দোকান, আলু পেঁয়াজের আড়ত আমরা সিল করে দিই। এই অভিযানে দেখা গেল ব্যবসা করতে বা দোকান চালাতে যে বৈধ কাগজপত্র লাগে তা অনেকের কাছেই নেই। একটি চালের দোকানে দেখা গেছে চালের বস্তায় কোনো ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট দেওয়া নেই সাথে বৈধ অনুমতি ছাড়াই অতিরিক্ত চালের বস্তা মজুত রাখা আছে। এই অবৈধ কাজের জন্য দোকানটি আমরা সিল করে দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবো। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন মুদির দোকানদারদের নির্দেশ দিয়েছি যে, তাঁরা যে সমস্ত জিনিসপত্র বিক্রি করছেন তার একটি দামের তালিকা যেন দোকানের সামনে ক্রেতাদের সুবিধার্থে টাঙিয়ে রাখেন। তবে এই অভিযান শুধু আজকের জন্যই নয়। আজ থেকে শুরু হল। মাঝে মাঝেই এই ধরনের অভিযান আমরা চালাবো যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী সাধারন মানুষকে ঠকাতে না পারে।”
এছাড়াও মহকুমা শাসক আরো জানান যে, “বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা কিংবা দোকানদাররা অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সেটা একদমই হতে দেওয়া যাবে না। মাস্ক সবাইকে পরতে হবে সাথে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলতে হবে। গতকাল আমরা একটি ট্যাবলো শহরে বের করেছি। এই ট্যাবলোতে মাস্ক আর স্যানিটাইজার রাখা আছে। যেখানে যেখানে দেখা যাবে যদি কেউ মাস্ক পরেনি তাঁকে সেই ট্যাবলো থেকে মাস্ক দিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ নিজেদের কাছে মাস্ক থাকলে পরো আর নয়ত আমরা দিয়ে দিচ্ছি। মোট কথা করোনা সংক্রমণ রুখতে সকলের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।”